Wednesday, 22 January, 2025
Logo

নির্বাচনের আগে সংস্কার বক্তব্যে অসৎ উদ্দেশ্য দেখছেন তারেক রহমান


প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে


ছবি - সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কোনো কোনো মহল থেকে নির্বাচনের আগে সংস্কার বলে যে বক্তব্য আসছে তার পেছনে অসৎ উদ্দেশ্যে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

বুধবার (০১ জানুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় ভার্চুয়াল যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, কোনো কোনো মহল থেকে জানতে চায় সংস্কার নাকি নির্বাচন? এ ধরনের জিজ্ঞাসাকে বিএনপি তথা দেশ প্রেমিক শক্তি, সকল মানুষ, সকল রাজনৈতিক দল স্রেফ অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণীত কূটতর্ক বলেই বিবেচনা করে। বরং বিএনপি মনে করে, রাষ্ট্র রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দলের গুণগত পরিবর্তনের জন্য সংস্কার এবং নির্বাচন উভয়ই প্রয়োজন। বিদ্যমান ব্যবস্থা সময়োপযোগী করতে সংস্কার একটি অনিবার্য ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এমনি করে গণতন্ত্রকে টেকসই এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নির্বাচনী সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর পন্থা। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ ভোটের অধিকার প্রয়োগের যে সুযোগটি পায়, যেটি রাষ্ট্র -জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নানান চড়াই উৎরাই এর মধ্য দিয়ে ছাত্রদল বর্তমানে দেশের সবার কাছে জনপ্রিয় সংগঠনের পরিণত হয়েছে। ছাত্রদলের জন্ম লগ্ন থেকে যাদের ত্যাগ তিতিক্ষা, শ্রম, ঘাম ও মননে এই সংগঠনটি সারাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এবং জনমনে ইতিবাচক ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনে সেই সকল নেতা-কর্মীদের গভীরভাবে স্মরণ করছি।

কোনো হঠকারী সিদ্ধান্তে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা যেন নষ্ট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখাতে দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, কোনো হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে যাতে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বিনষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। এ ব্যাপারে সংগঠনের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে সতর্ক এবং সজাগ থাকতে হবে। 

তারেক রহমান বলেন, যারা জনগণের রায়ের মুখোমুখী হতে ভয় পায় এবং যাদের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য আছে, তারাই নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। তবে এমন পরিস্থিতিতে ধৈর্য না হারিয়ে জনগণকে মানসিকভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বর্তমান পরিস্থিতিতে দলের নেতাকর্মীদেরও কোনো অপপ্রচারে কান না দিতে আহ্বান জানান তিনি।

গুম-শহীদ হওয়া সহকর্মীদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে তারেক রহমান বলেন, দেশ এবং জনগণের কাঁধে চেপে বসে থাকা মাফিয়া স্বৈরাচারের অপমানজনক বলার মাধ্যমে পার হলো ঐতিহাসিক ২০২৪। নিরপরাধ বাংলাদেশ গড়ার এক অপার সম্ভাবনা নিয়ে আরেকটি নতুন বছরের যাত্রা শুরু হল আজ থেকে। এ সময় তিনি বীর ছাত্র-জনতাকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, মনে রাখা দরকার লোভ বা লাভের ঊর্ধ্বে উঠে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাবলম্বী বাংলাদেশে গড়তে, বিশেষ করে ছাত্র তরুণদের ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক বিশ্বে একটি কার্যকর এবং প্রভাবশালী রাষ্ট্রের ভূমিকায় দেখতে চাইলে ও বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের একজন মর্যাদাবান নাগরিক হিসেবে বেঁচে থাকতে চাইলে, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের কোন বিকল্প নেই।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, যুবদলের সভাপতি আবদুর মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সাবেক ছাত্রদল নেতা কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুমসহ সংগঠনটি অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। 

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত